জমি থেকে বালু-পাথর উত্তোলনে বাধা দেয়ায় কৃষককে কুপিয়ে জখম
- আপলোড সময় : ১১-০৩-২০২৫ ০৯:৫৯:২৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১১-০৩-২০২৫ ১০:২৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার :: বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ইজারাবিহীন ধোপাজান-চলতি নদীর তীরে ৩ ফসলি জমি (শিম ক্ষেত) থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় জমির মালিক কৃষক ফরিদ মিয়াকে বেধড়ক মারপিট ও কুপিয়ে জখম করেছে বালুখেকোরা। তিনি সলুকাবাদ ইউনিয়নের কালীপুর ডলুরা গ্রামের মরহুম ধনু মিয়ার ছেলে। সোমবার ডলুরা কালীপুর চলতি নদীর তীরে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সোমবার সকালে বালু-পাথরখেকো সিন্ডিকেট ড্রেজার দিয়ে কৃষক ফরিদ মিয়ার (৩৮) জমি থেকে বালু-পাথর উত্তোলন করছিল। এসময় তিনি বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বালু-পাথরখেকোরা। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতের ভাই শাহজাহান মিয়া বলেন, সোমবার সকালে আমার ভাই ফরিদ মিয়ার নিজস্ব শিমক্ষেত থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলন করছিল সিন্ডিকেট সদস্যরা। এতে তিনি বাধা প্রদান করেন। এ সময় একই গ্রামের ইছব আলীর হুকুমে মহর আলী, মোহাম্মদ আলী ও ইকবাল হোসেন মিলে ধারালো ছুরি দিয়ে ফরিদ মিয়াকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। পরিবারের লোকজন জানান, আহত ফরিদ মিয়াকে নিয়ে ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি আছেন। কিন্তু এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। অভিযোগের ব্যাপারে ইছব আলী জানান, আমি অসুস্থ বাড়িতে ছিলাম। মারামারির ঘটনায় ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এদিকে, বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই তাজ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেননি বলে জানান। বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোকলেছুর রহমান জানান, কালীপুর ডলুরায় মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ফরিদ মিয়া নামের একজন ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি আছে। তার হাতের কব্জির রগ ডিসপ্লেস হয়ে গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ